জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের দমনে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান। এটি আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি “অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ-২” অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তারা যদি আগ্নেয়াস্ত্র চান, তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া যাদের আগ্নেয়াস্ত্র সরকারের কাছে জমা থাকে, সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে।’

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিছুদিন সেই অভিযান চললেও পরবর্তীতে তা অনেকটা থমকে যায়।

এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’

তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে এবং বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।